বীর বাংলা নিউজঃ
জমিজমা সংক্রান্ত পূর্বশত্রুতার জেরে ঈশ্বরদীতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে একটি বসতবাড়ির ইটের তৈরি সীমানা প্রাচীর ও টিনসেড ঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিরাপত্তাহীনতায় থাকা একটি পরিবারের সদস্যরা।
শুক্রবার দুপুরে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শহরের নূরমহল্লা এলাকার বাসিন্দা কলেজ শিক্ষক নাজমুন নাহার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগে বলেন, ঈশ^রদী শহরের নূরমহল্লা এলাকায় আমাদের ৪৫ বছরের পৈত্রিক বাড়ির সীমানা প্রাচীর জোরপূর্বক ভেঙে বাড়ির একটি টিনসেড ঘর গুঁড়িয়ে সেখানে থাকা লৌহজাত সামগ্রীসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করেছেন প্রতিপক্ষ মিন্টু মল্লিক ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। হামলাকারীরা বাড়ির আঙিনা থেকে গাছপালা কেটে সেখান থেকে লৌহজাত সামগ্রীসহ পাঁচ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়েছে বলেও অভিযোগ করা করা হয়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা তাদের বাড়ির বেশকিছু গাছপালা কেটে দেয় এবং পুরাতন বরফ কলের লৌহজাত দ্রব্যসহ ৫ লক্ষাধিক টাকার সম্পদ লুট করে নিয়ে যায়। লিখিত বক্তব্যে কলেজ শিক্ষিকা নাজমুন্নাহার বলেন, ১৯৮০ সালে তার পিতা মরহুম হাজি নিজাম উদ্দিন জমিটি ক্রয় করেন। এস.এ রেকর্ডে আমাদের জমির খাজনা খারিজ সহ সব কিছুই ঠিক ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আর.এস রেকর্ডে টেমপার করে স্থানীয় প্রতিবেশী ওয়াহাব মল্লিক তার নাম বসিয়ে দেয়। এরপর থেকে নানা ধরণের ঝামেলা তৈরি হলে বিষয়টি আদালতে গড়ায়।
এবিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জোরপূর্বক সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আমাদের জমি জবর দখল করা হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, হামলার পর থেকে তারা আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার ও কুৎসা রটনা হচ্ছে। এতে সামাজিকভাবে তাদের সম্মানহানী ঘটছে। বিষয়গুলো তার পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে। তারপরও হুমকি-ধামকি কমছে না। তিনি অপরাধীদের শাস্তির দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নির্যাতিত পরিবারের সদস্য মো. নজরুল ইসলাম, মো. সাহেদুল হক, মো. তৌহিদুল ইসলাম, কৌশিক রহমান।