বীর বাংলা নিউজঃ
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঈশ্বরদী খায়রুজ্জামান বাবু বাসটার্মিনালে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা হত্যার চেষ্টার ট্রেন বহরে হামলার মিথ্যা মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত নেতা জাকারিয়া পিন্টুর দিকনির্দেশনায় ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর বিএনপি সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এই মামলায় দশ বছর এবং যাবজ্জীবন প্রাপ্ত ৩০ জন রাজবন্দী মুক্তির পাওয়াই ঈশ্বরদী বিএনপি পার্টি অফিস সংলগ্ন খাইরুজ্জামান বাস টার্মিনালে একটি গণসংবর্ধনা আয়োজন করে ।
কারামুক্ত নেতাদের ফুল, উত্তরিও, ক্রেষ্ট ও বাংলার ঐতিহ্য গামছা দিয়ে সম্মান জানান হয়।
এর আগে ৩ দিন ব্যাপি এ আয়োজনের কর্মকাণ্ড চলে। তৈরি করা হয়ে বিশাল মঞ্চ। সেই মঞ্চের সামনে কারামুক্ত সকল নেতার রাজনৈতিক পরিচয় সম্বলিত ছবি টাঙ্গানো হয়।
ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির আহবায়ক এসএম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সদ্য কারামুক্ত আলাউদ্দিন বিশ্বাস, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব বিষ্টু সরকার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর দুলাল, পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসলাম হোসেন জুয়েল, পৌর যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন জুয়েল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মেহেদী হাসান, কারামুক্ত ও সাবেক পৌর কাউন্সিল আনোয়ার হোসেন জনি, নুরুল ইসলাম আক্কেল, আজাদ হোসেন খোকন, এনাম প্রমুখ।
গণ সংবর্ধনা কারামুক্ত বক্তারা বলেন, এখনই তারা এই সংবর্ধনা নিতে চান না। মিথ্যা ফাঁসির দন্ডাদেশ পাওয়া ৯ জন নেতা জামিনে মুক্তি পেলে তারা একত্রে আনন্দ- উল্লাস করতে চান।
তারা আরও বলেন, দেশে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলছে কিন্তু আওয়ামী নেতা- কর্মী ও সন্ত্রাসীদের হাতে প্রচুর অবৈধ অস্ত্র আছে সে গুলো উদ্ধার ও তাদের গ্রেফতার করতে হবে।
তারা আরও বলেন, আমাদের আন্দোলন এখনও শেষ হয়নি। সাধারন নির্বাচনের মাধ্যমে গনতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। গত জুলাই- আগষ্টের আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকারের আন্দোলনে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে যে শত শত বিএনপি নেতা- কর্মী, ছাত্র- জনতা শহীদ হয়েছেন। তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। খুনি শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে সকল হত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে।
সংবর্ধনার অনুষ্ঠানের আগে ঈশ্বরদী পৌরসভা বিভিন্ন ওয়ার্ড ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার নেতা- কর্মী সমাবেশে এসে যোগ দেয়।