বীর বাংলা নিউজঃ

ঈশ্বরদী উপজেলা সাহাপুর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি রাসেল পারভেজের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে গুলিবর্ষণ ও হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবকদল। শুক্রবার (১৬ আগষ্ট)  সকালে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব হকরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব মেহেদী হাসান।

এ সময় পৌর বিএনপির আহবায়ক এসএম ফুজলুর রহমান, সদস্য সচিব বিষ্টু সরকার,  বিএমপি নেতা আলমগীর,  আব্দুর রাজ্জাক, আবু সাঈদ লিটন, কাউন্সিল আবু জায়েদ উজ্জল, মামুনুর রশীদ নান্টুসহ যুবদল, ছাত্রদল,  স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা- কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মেহেদী হাসান বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রামের ফলে দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। ছাত্র- জনতার রক্তের বিনিময়ে দেশ নতুন করে স্বাধীনতা পেয়েছে।

এ সময় কিছু সুযোগ সন্ধানী দুষ্কৃতিকারী মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। গত ৬ আগষ্ট রুপপুরে তানভীর আহমেদ ওরফে আমেরিকান সুমনের ২ গ্রুপে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সচীন নামে একজন হত্যাকন্ডের শিকার হন। ঐ ঘটনায় রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সাহাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের  আহবায়ক রাসেল পারভেজসহ স্বেচ্ছাসেবকদল, যুবদল, ছাত্রদলের নেতা- কর্মীদের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করে।

এরই প্রতিবাদে গত ১৫ আগষ্ট সকালে নারী- পুরুষসহ এলাকাবাসী একটি বিক্ষোভ মিছিল জিগাতলা নামক স্থান থেকে শুরু করে কড়ইতলা নামক স্থানে পৌছালে আমেরিকান সুমনের নেতৃত্ব নবী ডাকাত,সজিব ডাকাত, সোহেল সরদার, টোকাই রুমন, রিগ্যান, পাকা সজিবসহ ১৫-২০ জন বিক্ষোভ মিছিলে অতর্কিত গুলিবর্ষণ ও  হামলা করে। এতে ১৫-১৬ জন আহত হন এবং ২ টি মটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়।

তিনি বলেন, এরা সবাই ডাকাতচক্র। এদের নামে থানায় ডাকাতি মামলা রয়েছে। এরাই ইতিপূর্বে  শাহজাহান  একজনকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে এবং এলাকায় নানা রকম সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে।

কিন্ত দুংখজনক এই ঘটনায় পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক আহবায়ক হাবিবুর রহমান কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অভিযোগ করেছেন আমি তার নেতা- কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছি। এটি সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এ ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে সে দিন আমেরিকান সুমন গং মিছিলে হামলা করলে এলাকাবাসী এক হয়ে ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, সে দিন কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে স্বেচ্ছাসেবকদলের  নেতা- কর্মীরা যখন মাঠে অবস্থান করছিল আমি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব হিসাবে তাদের আমনন্ত্রে ইউনিয়নে ইউনিয়নে ঘুরে দেখছিলাম। তখন মিছিলে হামলার বিষয়টি জানতে পারি।

পরিশেষে তিনি বলেন, আন্দোলনে শত শত ছাত্র জনতার রক্তর  বিনিমনে আমরা নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি। সামান্য স্বার্থ হাসিলের জন্য আজ যদি দুষ্কৃতিকারীরা শাস্তির বদলে বাহবা পায় তাহলে এই নতুন স্বাধীনতা ম্নান হবে। শহীদের রক্তের সাথে বেইমানী করা হবে।