1. admin@birbangla24.com : birbangla24.com :
  2. tipuisd@gmail.com : বীর বাংলা ডেক্সঃ : বীর বাংলা ডেক্সঃ
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
সাংবাদিক শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবু গ্রেফতার আগামী ৩ দিন বৃষ্টি হতে পারে — আবহাওয়া অফিস ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়ায় আব্দুল হামিদ জিন্নাহ স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবকদলের কেন্দ্রীয় নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে ঈশ্বরদীতে বিক্ষোভ মিছিল ঈশ্বরদীতে ব্যাপক আয়োজনে কারামুক্ত বিএনপির ৩০ নেতার গণ সংবর্ধনা প্রদান তারেক রহমানের জন্য জীবনও দেওয়া যায়– জাকির হোসেন জুয়েল কিয়ামত পর্যন্ত ঈশ্বরদীতে আওয়ামীলীগের রাজনীতি বন্ধ– হাবিব দায়রা জজ পদোন্মতি পেলেন মহাম্মদ আলী আহসান কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন ঈশ্বরদী বিএনপির নেতারা ঈশ্বরদী যুবলীগ সভাপতি তমাল গ্রেফতার

২০ মার্চ ১৯৭১ বঙ্গবন্ধু – ইয়াহিয়া ৪র্থ বৈঠক হয়

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২০ মার্চ, ২০২২
  • ১৩০ বার পড়া হয়েছে

আজ ২০ মার্চ একাত্তরের এই দিনে আহ্বানে সারাদেশে অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের উনিশতম দিন। বঙ্গবন্ধু ও ইয়াহিয়া খানের ১৬ মার্চ দেড়শ মিনিটের বৈঠকের পর আজ চতুর্থ দফা বৈঠক হয়। সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে এবার বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দলের শীর্ষ ৬ নেতা ছিলেন। তারা হচ্ছেন- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, এএইচএম কামরুজ্জামান, খোন্দকার মোশতাক আহমদ এবং ড. কামাল হোসেন।
বিপরীতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সঙ্গে ছিলেন বিচারপতি এআর কর্নেলিয়াস, লে. জেনারেল পীরজাদা ও কর্নেল হাসান। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে এ আলোচনা চলে। দেশের মানুষ তো বটেই, পশ্চিম পাকিস্তানসহ সারা বিশ্বের চোখ ছিল এর প্রতি। প্রেসিডেন্ট ভবনের বাইরে সমবেত হন বিপুলসংখ্যক জনতা।

আলোচনা শেষে প্রেসিডেন্ট ভবন হতে বঙ্গবন্ধু বের হয়ে আসলে সংগ্রামী জনতা ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে তাকে স্বাগত জানায়। তবে বঙ্গবন্ধু কিছু না বলে সরাসরি ধানমণ্ডিতে নিজ বাসভবনে চলে যান। সেখানে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। আগামীকাল পুনরায় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসব। এরই মধ্যে আমার উপদেষ্টারা প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টাদের সঙ্গে সময় ঠিক করে মিলিত হবেন।’

সাংবাদিকরা জানতে চান সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা? বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আলোচনা চলছে, আলোচনা শেষ হলেই কর্মপন্থা স্থির হবে।’ আলোচনায় সন্তুষ্ট কিনা জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে, আমার এ মন্তব্য হতেই আপনাদের বুঝে নিতে হবে।’ কতদিন এ আলোচনা চলবে? জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আলোচনা অনির্দিষ্টকাল ধরে চলতে পারে না।’ এ সময় নেতাকে অত্যন্ত গম্ভীর দেখাচ্ছিল। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেয়ার সময় তিনি ছিলেন অত্যন্ত সতর্ক ও সংযত।

এদিন সংবাদপত্রে দেয়া দীর্ঘ বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষের ঐক্যবদ্ধ থাকার এবং যার যার অবস্থান থেকে তার নির্দেশ পালন করে যাওয়ার জন্য প্রত্যেককে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে বাঁচার উদ্দেশ্যে জনসাধারণ সব ধরনের ত্যাগ স্বীকারে বদ্ধপরিকর। তাই মুক্তির লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পদ্ধতিতে জনগণ তাদের আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৪ মার্চ ঘোষিত কর্মসূচির পর যেসব নির্দেশ ও ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে কিংবা আগামীতে হবে সেগুলো পালন সাপেক্ষে ওই সংগ্রামী কর্মসূচি চালু থাকবে এবং আগামী ২৩ মার্চ ‘লাহোর প্রস্তাব দিবস’ উপলক্ষে সমগ্র বাংলাদেশে ছুটি থাকবে।’প্রতিদিনের মতো আজও রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল জনতা মিছিল ও শোভাযাত্রায় বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের সামনে সমবেত হয়। এদের মধ্যে ছিল ইস্টার্ন ব্যাংকিং কর্পোরেশন, ন্যাশনাল ব্যাংক, ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাদেশিক সরকার ও সেটেলমেন্ট কর্মচারীদের সংগঠনগুলোও।

সমবেত জনতার উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু। তিনি বলেন, ‘বাংলার জনগণের সার্বিক মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত সত্যাগ্রহ চলবে। আন্দোলনে ভাটা পড়তে দেবেন না। সংগ্রামে শৈথিল্য এলে শত্র“পক্ষই শক্তিশালী হবে। আমার আর কিছুই পাওয়ার নেই। যা আমি পেয়েছি এর কোনো তুলনা নেই। বাংলার মানুষের এই বিশ্বাস ভালোবাসা নিয়েই আমি মরতে চাই। আর তার আগে বাংলার মানুষের মুক্তি চাই। যত বাধাই আসুক এই লক্ষ্য অর্জনের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।’ বঙ্গবন্ধু দৃপ্তকণ্ঠে বলেন, ‘বাংলাদেশকে কলোনি করে বাজার করে রাখার দিন বাসি হয়ে গেছে। মুক্তিপিপাসু সাড়ে সাত কোটি বাঙালির চূড়ান্ত বিজয়কে পৃথিবীর কোনো শক্তিই প্রতিহত করতে পারবে না।’

পশ্চিম পাকিস্তানের কাউন্সিল মুসলিম লীগ প্রধান মিয়া মমতাজ মোহাম্মদ খান দৌলতানা, শওকত হায়াৎ খান এবং জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুফতি মাহমুদ বিকালে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে মিয়া দৌলতানা বলেন, ‘জাতীয় পরিষদের একজন সদস্য ও পরিষদে একটি ক্ষুদ্র দলের প্রতিনিধি হিসেবে শেখ সাহেবের সঙ্গে আলোচনা করেছি।… সংখ্যাগরিষ্ঠ দলনেতা যখন যেমন চাইবেন আমরা প্রয়োজনমতো উপস্থিত থাকব এবং আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ সমাধান।’

সারা দেশের মানুষ যখন শান্তিপূর্ণ উপায়ে জাতীয় সমস্যার সমাধানে প্রেসিডেন্টকে তাগিদ দিচ্ছে তখন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ভুট্টোর মদদে সশস্ত্র পন্থায় বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামকে স্তব্ধ করে দিতে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় শোনা যাচ্ছিল মি. ভুট্টো তার ২০ উপদেষ্টাসহ আজ ঢাকা আসছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত