মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি থানায় একজন হতদরিদ্রকে বাড়ী করে দেওয়া পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ঈশ্বরদী থানা এলাকার একজন দরীদ্র  মানুষকে কে বাড়ী নির্মাণ করে দিচ্ছে পুলিশ। বাড়ীটি নির্মাণে ৪ শতাংশ জমি দান করেন এই ওয়ার্ডের কাউন্সিল আবুল হাসেমের মাতা।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে পৌর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অরণকোলা এলাকার মৃত রেজাউল শেখের পুত্র  মামুন হোসেন বাড়ী নির্মাণ করে দেওয়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খাঁন ( বিপিএম)। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঈশ্বরদী পৌর মেয়র ইছাহক আলী মালিথা,  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীর, ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান, (ওসি তদন্ত) হাদিউল ইসলাম,ইন্সপেক্টর ( বিশেষ বিভাগ) মোবারক পারভেজ, ঈশ্বরদী ফাঁড়ী ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম শহীদ, পৌর কাউন্সিল আবুল হাসেম, আবু জাহীদ উজ্জল,  ওয়াকিল আহমেদ, আমিনুল ইসলাম, রহিমা খাতুন,  ফিরোজা বেগম, ফরিদা ইয়াসমিন, জমিদাতা হাসেম কাউন্সিলরের মাতা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার বলেন, ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গিকার পুলিশ হবে জনতার’ এরই অংশ হিসাবে এই গৃহটি নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশের মহা- পরিদর্শক ড. বেনজির আহমেদ এই উদ্যেগ গ্রহণ করেছেন।  পুলিশ আইন শৃংখলা রক্ষা ও মানুষের জান মালের নিরাপত্তার পাশাপাশি সামাজিক কাজে অংশ নিচ্ছে। এটি তার প্রমাণ। এ ছাড়া তিনি আরও বলেন, ঈশ্বরদীতে ছিনতাই বেড়ে গিয়েছিল। পুলিশ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করায় তা কমেছে। এই এলাকায় মাদকের প্রভাব রয়েছে। মাদক বিক্রেতা ও ক্রেতাদের ব্যাপারে পুলিশকে তথ্য দেওয়ার আহবান জানান তিনি। পুলিশের কোন সদস্য মাদক গ্রহণ ও ক্রয়- বিক্রয়ে সহযোগিতার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

অনুষ্ঠানে মেয়র ইছাহক আলী মালিথা বলেন, এটি পুলিশের একটি ভাল উদ্যেগ। আমরা তাদের সার্বিক সহযোগীতার করবো। মানবতার মা শেখ হাসিনা দেশকে উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে নিয়ে যাচ্ছেন। পুলিশের উদ্যেগে দরিদ্র মানুষকে বাড়ী নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে এটি তার একটি অংশ।

বাড়ী গ্রহিতা মামুন বলেন, আমার কোন জমি বা বাড়ী ছিল না। এই বাড়ী পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। এখন আমার একটি ঠিকানা হল।