1. admin@birbangla24.com : birbangla24.com :
  2. tipuisd@gmail.com : বীর বাংলা ডেক্সঃ : বীর বাংলা ডেক্সঃ
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০২ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
সাংবাদিক শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবু গ্রেফতার আগামী ৩ দিন বৃষ্টি হতে পারে — আবহাওয়া অফিস ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়ায় আব্দুল হামিদ জিন্নাহ স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবকদলের কেন্দ্রীয় নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে ঈশ্বরদীতে বিক্ষোভ মিছিল ঈশ্বরদীতে ব্যাপক আয়োজনে কারামুক্ত বিএনপির ৩০ নেতার গণ সংবর্ধনা প্রদান তারেক রহমানের জন্য জীবনও দেওয়া যায়– জাকির হোসেন জুয়েল কিয়ামত পর্যন্ত ঈশ্বরদীতে আওয়ামীলীগের রাজনীতি বন্ধ– হাবিব দায়রা জজ পদোন্মতি পেলেন মহাম্মদ আলী আহসান কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন ঈশ্বরদী বিএনপির নেতারা ঈশ্বরদী যুবলীগ সভাপতি তমাল গ্রেফতার

৫ মার্চ একাত্তরের এই দিনে

বীর বাংলা নিউজ
  • প্রকাশিত: শনিবার, ৫ মার্চ, ২০২২
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে

৫ মার্চ ১৯৭১। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি পর্বের শেষ ধাপে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, সিলেটসহ সারা দেশে নিরস্ত্র মানুষের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে গোটা দেশকে রক্তে রঞ্জিত করে পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী। গণহত্যার প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে সমগ্র বাঙালি জাতি। শহরে-বন্দরে, গ্রামে-গঞ্জে, শ্রমিক, কৃষক, ছাত্র-জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।

শাসকগোষ্ঠী এই আন্দোলন দমন করার জন্য সর্বত্র পশুশক্তির আশ্রয় নেয়। কেবল ঢাকা শহরেই শত শত মানুষের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়। বর্বরোচিত পন্থায় নিরীহ জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যার মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ইয়াহিয়া-ভুট্টো।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ ৫ মার্চ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, সিলেট ও বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানে নিরস্ত্র জনতাকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে আমি তার তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর এই নির্যাতনমূলক কাজের নিন্দা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। অথচ আমরা জানি বিদেশি হামলা থেকে দেশকে রক্ষার জন্যই এই সব অস্ত্র ব্যবহৃত হবার কথা।

পশ্চিম পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তাজউদ্দীন বলেন, নির্বাচতি জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি বিভিন্ন মহল থেকে উঠেছে। এই সময় পশ্চিম পাকিস্তানের সাধারণ মানুষেরও উচিত বাংলাদেশের নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের ওপর গণহত্যা বন্ধের দাবি তোলা।

পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ওয়ালী গ্রুপ) সভাপতি মোজাফ্ফর আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলতাফ হোসেন যুক্ত বিবৃতিতে অভিযোগ করেন, ‘পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়াশীল শাসকগোষ্ঠী দেশে গণতন্ত্র বিকাশের পথ রুদ্ধ করেছে। জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বাতিল করেছে। শান্তিপূর্ণভাবে গণ-প্রতিনিধিদের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর অস্বীকার করেছে। বাংলার জনগণের স্বাধিকার প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক মুক্তি প্রভৃতি দাবিকে নস্যাৎ করার জন্য নানা রকম হীন ষড়যন্ত্র ও যাবতীয় নির্যাতনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এরই প্রতিবাদে শহরে-বন্দরে, গ্রামে-গঞ্জে, শ্রমিক, কৃষক, ছাত্র-জনতা, বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে। শাসক গোষ্ঠী এই আন্দোলন দমন করার জন্য সর্বত্র পশুশক্তির আশ্রয় গ্রহণ করেছে। কেবল ঢাকা শহরেই শত শত মানুষের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। তারা এ দেশে সর্বত্র একই বর্বরোচিত পন্থায় নিরীহ জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে এবং গণহত্যা করে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। এহেন গণহত্যা চলতে থাকলে জনগণের পক্ষে পরিবেশ শান্ত রাখা সম্ভব হবে না। ফলে কোনো মারাত্মক পরিস্থিতির উদ্ভব হলে শাসকগোষ্ঠীকেই  দায়ী হতে হবে।

পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া গ্রুপ) আয়োজিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের জনসভায় মতিয়া চৌধুরী বলেন, বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনের সংগ্রামকে সার্থক করার জন্য মুক্তিবাহিনী গঠন করতে হবে। সরকার যদি মনে করেন রক্ত নিয়ে বাঙালিকে দমন করা যাবে, তাহলে ভুল করেছেন। ঘটনা যাই ঘটুক, বাংলার বুকে স্বাধিকারের যে পতাকা আজ উড়ছে, তা নামানো যাবে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত