২২ মার্চ ১৯৭১,সকাল ১০ টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো ও প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান প্রেসিডেন্টের বাসভবনে বৈঠকে বসেন। এটি ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার ষষ্ঠ দফা বৈঠক। ১ ঘণ্টা ২০ মিনিটের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কোনো ধরনের সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। এক পর্যায়ে বৈঠক স্থগিত হয়ে যায়।
এদিকে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ২৫ মার্চের জাতীয় সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করেন। জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা ও রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে মতৈক্য প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়ে তিনি জাতীয় সম্মেলন স্থগিত করেন।
বৈঠকের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইয়াহিয়া খানকে প্রশ্ন করেন, তিনি আওয়ামী লীগের ঘোষণাপত্র পড়েছেন কি না? আর পড়লেও তার ঘোষণাপত্র পাকিস্তান সমর্থন করবে কি না? জবাবে ইয়াহিয়া খান বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার দলের ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের আগে পাকিস্তান পিপলস পার্টির সম্মতি প্রয়োজন রয়েছে।
ইয়াহিয়ার এমন জবাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, আপনি ভুট্টোকে বোঝানোর চেষ্টা করুন, যাতে সে দ্রুত আমাদের ঘোষণা মেনে নেয়। নয়তো পূর্ব পাকিস্তানের অবস্থা দ্রুতই খারাপ পরিস্থিতির দিকে যাবে। ওই বৈঠকের পর বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তা সাত কোটি মানুষের মুক্তির জন্য আন্দোলন। আর চূড়ান্ত পরিণতি আসা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও তিনি ঘোষণা করেন।