বীর বাংলা নিউজঃ
আজ অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী- আটঘরিয়া) আসনে বিপুল ভোটে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী গালিবুর রহমান শরীফ তিনি পেয়েছেন ১,৬৭,৪৪৩। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি পাঞ্জাব বিশ্বাস পেয়েছেন ১৪,৬৬২।
এ আসনে মোট ভোটার ছিল ৪,১০,২৩১ জন। এর মধ্যে ঈশ্বরদী উপজেলায় ২,৭৩,১৬৮ ও আটঘরিয়া উপজেলায় ১,৩৭,০৬৩ ভোট।
সারা দেশের মতো সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত এ আসনের ১২৯ টি ভোট কেন্দ্রের ঈশ্বরদীতে ৮৪ ও আটঘরিয়ায় ৪৯ টি ভোট গ্রহন শুরু হয়। শুরুতে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। আওয়ামীলীগের প্রার্থী গালিবুর রহমান শরীফ সকাল সাড়ে ৮ টায় ঈশ্বরদী মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন।
বিকাল ৪ টায় ভোট গ্রহন শেষে গননার পর ঈশ্বরদী উপজেলায় ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাস ঈশ্বরদী উপজেলার ৮৪ টি ও আটঘরিয়া উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা নাহারুল ইসালাম আটঘরিয়া উপজেলায় ৪৯ কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষনা করেন। এতে আওয়ামীলীগের গালিবুর রহমান শরীফ বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হন।
ভোটে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে জাসদের মশাল মার্কার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক পেয়েছেন ১০৬০ ভোট, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী রেজাউল করিম পেয়েছেন ১,৫৩৩ ভোট, গামছা মার্কার প্রার্থী রেজাউল হাসান পেয়েছেন ৩,৮৫৬ ভোট ও এনপিপি’ র আম মার্কা প্রার্থী মনসুর রহমান পেয়েছেন ৭৮৭ ভোট।
পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী- আটঘরিয়া) আসনে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭৩ সালে আওয়ামীলীগের প্রার্থী মহিউদ্দীন আহমেদ, ১৯৭৯ সালে বিএনপির আব্দুল বারী সরদার, ১৯৮৬ সালে জাসদের পান্জাব বিশ্বাস , ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির মঞ্জুর রহমান বিশ্বাস, ১৯৯১ সালে বিএনপির সিরাজুল ইসলাম সরদার, ১৯৯৬ সালে (১৫ ফেব্রুয়ারী) বিএনপির সিরাজুল ইসলাম সরদার, ১৯৯৬ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত পরপর আওয়ামীলীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুর রহমান শরীফ ডিলু এবং ২০২৪ সালে আওয়ামীলীগের গালিবুর রহমান শরীফ নির্বাচিত হলেন।