বীর বাংলা নিউজঃ
অবশেষে জামিনে মুক্তি পেয়ে কারাগার থেকে বাড়ী ফিরলেন ঈশ্বরদী বিএনপির নেতারা। রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে পাবনা জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বাড়ী ফিরলেন তারা।
এ দিন কারামুক্তদের মধ্যে রয়েছেন, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বিশ্বাস, ইসলাম হোসেন জুয়েল, আনোয়ার হোসেন জনি, ইঞ্জিনিয়ার মুক্তার হোসেন, মোহাম্মদ বরকত, হাফিজুর রহমান মুকুল, আবুল কাশেম, লিটন মাল, আহম্মেদ ফয়সাল রিয়াজি রনো, এনাম, সিমুয়া শামসুর রহমান, আজাদ হোসেন খোকন, হুমায়ুন কবির দুলাল।
৫ বছর আগে শেখ হাসিনার ট্রেনে গুলি করা মামলার রায়ে তাদের ফাঁসি, যাবজ্জীবন ও ১০ বছর মেয়াদে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত ২৭ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিজয়-৭১-এর ১১ আদালতের বিচারক এ এস এম আব্দুল মবিন ও বিচারক মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের যৌথ বেঞ্চ কারাবন্দি ঈশ্বরদী বিএনপির ৪৭ নেতাকর্মীর মধ্যে ৩০ জনকে জামিনের আদেশ দেন।
এই আদেশের প্রেক্ষিতে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) পাবনা কারগার থেকে মুক্তিলাভ করেন ১২ নেতাকর্মী। অন্য ১৮ জন রাজশাহী কারাগারে থাকায় সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) মুক্তি পাবেন বলে জানা গেছে।
সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট জামিল আক্তার এলাহী জানান, ত্রিশ বছর আগে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় ২০১৯ সালের ৩ জুলাই চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত ফরমায়েশি রায় দেন পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক রস্তম আলী। ফরমায়েশি এই রায়ে স্থানীয় বিএনপির মোট ৫২ জন নেতাকর্মীর মধ্যে ৯ জনকে ফাঁসি, ২৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বিচার চলাকালীন ৪ জন এবং রায়ের পর কারাগারে মারা গেছেন ৩ জন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ২ জন জামিনে মুক্ত রয়েছেন। এদের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত ১২ জন ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৮ জনকে জামিন দেন আদালত। মামলা চলাকালীন ও কারাগারে বন্দি অবস্থায় মৃত্যু বরণকারীদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।