বীর বাংলা নিউজঃ
ঈশ্বরূীতে নাশকতা ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বিএনপি-জামায়াতের ১৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে গ্রেফতারকৃতদের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-২ এ হাজির করে পুলিশ। আদালতের বিচারক আলী আশরাফ তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পাকশী ইউনিয়ন উলামা পরিষদের সভাপতি ও ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক আমির হাফেজ মাওলানা ইলিয়াস হোসেন (৪৬), সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মহির মন্ডল (৫৪), পাকশী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ওরফে কালাম মোল্লা (৬০), পাকশী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আহাদুল ইসলাম ওরফে আহাদ মোল্লা (৩২), সলিমপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান সুমন (৩৫) এবং পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রদলের কর্মী নীরব হোসেন (২৩)। গ্রেফতারকৃত বাকিদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চলমান হরতাল-অবরোধে ঈশ্বরদীতে নাশকতা ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পূর্বের একাধিক মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঈশ্বরদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সবার বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পাবনা জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ মন্টু বলেন, সরকার আরেকটা এক তরফা নির্বাচন করতে এবং আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। আমাদের আন্দোলন চলছে চলবে ইনশাআল্লাহ।
ঈশ্বরদী উপজেলা জামায়াতের আমির ড. নুরুজ্জামান প্রামাণিক বলেন, চলমান আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে রাতের আঁধারে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। গ্রেফতার করে জনগণের আন্দোলন বন্ধ করা যায় না। আন্দোলন সফল হবে ইনশাআল্লাহ।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোপূর্বেও তাদের বিরুদ্ধে মামলা ছিল। বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।